সব মতের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি জাকসুর বিজয়ীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস | ছবি: এখন টিভি
0

রাজনৈতিক কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বিভিন্নভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে, তবে নির্বাচনের অস্বচ্ছতা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। এদিকে ছাত্রদল নির্বাচন বয়কট করে ভুল করেছে বলে জানান জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি। তবে সব মতের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সহাবস্থান ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি শিবির প্যানেল থেকে নির্বাচিতদের।

নির্বাচনী উত্তাপ শেষে আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। বিশেষ করে বৃষ্টিতে চিরায়ত রূপে ফিরেছে প্রাণ-প্রকৃতিঘেরা ক্যাম্পাস।

নির্বাচনের পরদিন হল পাড়ায় দুপুরের পর কিছু শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যায়। নির্বাচনী আলাপ তুলতেই, তাদের বক্তব্য, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে জাকসুতে।

জাকসু নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জিএস, এজিএসসহ মোট ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতেই বিজয়ী হয়েছেন তারা।

মুক্তচিন্তার এ ক্যাম্পাসে এতোদিন ইসলামী সংস্কৃতি চর্চায় বাধা ছিল প্রশাসন। এখন সহবস্থানের পাশাপাশি সব ধরনের সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন জাকসুর নবনির্বাচিত নেতারা।

স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচিত ভিপি আবদুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে ছাত্রশিবির প্যানেলের জয় হয়েছে, তাই একসঙ্গে কাজ করাতে সমস্যা হবে না।’

তবে ছাত্রদল মাঝপথে নির্বাচন বর্জন করে ভুল করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বেশ কিছু অভিযোগে কয়েকটি প্যানেলের নির্বাচন বয়কট এবং কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তার পদত্যাগের কারণে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

তবে জাকসুর রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা অনৈতিক। এই নির্বাচনে কোনো ফাঁক ছিল না।

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুক্তচিন্তার পাটাতন আরও বিস্তৃত হলো।’

সবশেষে জাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯২ সালে। অথচ প্রতিবছরই ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়ার বিধান রয়েছে।

এসএইচ