আন্দোলনকারীরা জানান, কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করে রাষ্ট্রকে জিম্মি করার নীল-নকশা হিসেবে বিএসসি ডিগ্রিধারীরা অযৌক্তিকভাবে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এর প্রতিবাদেই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
আরও পড়ুন:
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের ৪০ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও প্রায় ৪ লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। এ দাবি জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ শেষ করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
কারিগরি শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় বাতিল ও জড়িতদের চাকরিচ্যুতি এবং ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগ বিধি সংশোধন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির নিয়ম বাতিল এবং চার বছর মেয়াদি আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়ন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে (১০ম গ্রেড) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা, কারিগরি শিক্ষা খাতের সকল প্রশাসনিক পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ, স্বতন্ত্র কারিগরি মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন ও উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষায়িত টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ।





