আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শুরু হয় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারি। ফলাফল প্রস্তুত করা হয় সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল দৈবচয়ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ সফটওয়্যারভিত্তিক হওয়ায় শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেক আগেই লটারি চালু করেছিলাম। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি মাথায় নিয়ে প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত সব শ্রেণিতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যে অশুভ প্রতিযোগিতা তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে কমছে বৈষম্যও।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ জন।
করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে দেশে ডিজিটাল লটারীর মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি শুরু হয়। এরপর থেকে সেই ধারাবাহিকতায় দুই বছর ধরে লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে, বছরের প্রথমদিন স্কুলে স্কুলে চলে বই উৎসব। তবে করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে উৎসব হয়নি। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০১৮ সালে বই উৎসব বছরের প্রথমদিন না হয়ে কয়েকদিন এগিয়ে আনা হয়।
এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ৭ জানুয়ারি ভোট। এমন অবস্থায় বই উৎসব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। অনুষ্ঠানে সেই আভাসই দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।





