বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৯৯৩ জন। সারাদেশে পাসের হারে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
বরিশাল বোর্ডে বরাবরের মত এবারও জিপিএ ৫ এবং পাসের হার দুটোতেই এগিয়ে মেয়েরা। এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৭ হাজার ৪৬৫ জন। পাশ করেছে ৫৪ হাজার ৪১৩ জন। এরমধ্যে মেয়ে ২৯ হাজার ১৭৮ জন, আর ছেলে ২৫ হাজার ২৩৫ জন। আর পাসের হার মেয়েদের ৮৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর ছেলেদের ৭৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মেধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। ২ হাজার ৭৯১ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। আর জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ১ হাজার ২০২ জন।
দেশের অনান্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ে পাসের হার বেশি হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। তবে এই খুশির খুব একটা বহিঃ প্রকাশ ছিলো না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ রাজধানীতে অবস্থান করে কোচিংয়ের জন্য। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশালে থেকে রাজধানীতে যেতে সময় লাগে মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টা । এ কারণে যাদের সুযোগ আছে তারা ঢাকাতে কোচিং করছেন।
অন্যদিকে বেশ কয়েকবছর ধরে এসএমএস ও অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল জানার সুযোগ থাকায় কলেজে উপস্থিত হয়ে ফল জানার আগ্রহ আগের চেয়ে কমে গেছে। সে কারণে বরিশালের কলেজগুলোতে এখন আর আগের মত ভিড় দেখা যায় না এইচএসসি পরীক্ষার ফল গ্রহনের জন্য। অবিভাবকরা বলছেন, যেসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনার প্রতি বাসায় নজর রাখা হয় তারা ভালো ফলাফল করে। বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র মজুমদার জানান, তুলনামূলক দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়ায় বেড়েছে পাসের হার। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সকলের চেষ্টায় ভালো ফলাফল এসেছে। অন্যদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যপক ড. মোঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, পাসের হার বাড়লেও জিপিএ ৫ কমেছে। তাই এ ব্যপারে সংশ্লিষ্টদের আরও সচেতন হতে হবে।
২০২২ সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিলো ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ ছিলো ৭ হাজার ৩৮৬। এর আগে ২০২১ সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিলো ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ ছিলো ৯ হাজার ৯৭১।