প্রত্যাশা অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসেও মূল্যস্ফীতির হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। উল্টো এই সময়ের মধ্যে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। আয়ের তুলনায় জীবন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে অনেক পরিবারের।
এ অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চিন্তায় রীতিমতো দৌঁড়ঝাপ করছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্তারা। এরইমধ্যে পরপর দু'দিন বৈঠক করেছেন নীতিনির্ধারকরা। সংকট মোকাবিলায় কর বাড়ানো যায় কি-না, তাও ওঠে আসে আলোচনায়। তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বছরে ৪ লাখ ডলার বা তার কম উপার্জনকারী কোনও পরিবারের কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন খুব স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ৪ লাখ ডলারের কম উপার্জনকারী কোনও পরিবারই কর বৃদ্ধির আওতায় আসবে না। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এমন কোনও প্রস্তাবও কখনো করেননি।'
এরই মধ্যে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সুদহার পরিবর্তন না করে ৫.২৫ থেকে ৫.৫৫ শতাংশের মধ্যেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। এরমধ্য দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে টানা ষষ্ঠবারের মতো ঋণ ব্যয় না বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলো যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি সামাল দেয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, 'এটি খুব ভালো খবর যে আমাদের শ্রমবাজার অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি এখনও খুব বেশি। এটিকে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতির দরকার। সেই লক্ষ্য নিশ্চিত করতে মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
অর্থনৈতিক নানা টানাপোড়েনে মার্কিন মুদ্রানীতি কিছুটা ভাবালেও চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গড় হিসেব করলে প্রতি মাসে ২ লাখ ৭৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে বেকারত্বের হার কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।