হুট করেই সিদ্ধান্ত ২২ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারের জেড ক্যাটাগরিতে যুক্ত করার। দীর্ঘদিন বন্ধ বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ ও সম্পদের চেয়ে দায় বেশি- এমন কোম্পানি স্থান পেয়েছে এই তালিকায়।
তবে সিদ্ধান্ত কার্যকর নিয়ে বিপত্তি বাঁধে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি'র একটি অর্ডারের মাধ্যমে জানায় পরবর্তী বার্ষিক ঘোষণার পর এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। এরপর দুইদিন বন্ধ। অথচ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২২ কোম্পানিকে পাঠিয়ে দিলো জেড ক্যাটাগরিতে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলেন, 'এটা আরও আগে দেয়া উচিত ছিল। কারণ, জেড ক্যাটাগরির কিছু কিছু শেয়ার অতিরিক্ত মূল্যায়িত হয়ে গেছে। তাহলে এটা হতো না। এখন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে নিজেদের টাকা তুলতে পারবে না।'
সপ্তাহের প্রথম দিনে যার প্রভাব পুরোপুরি দৃশ্যমান পুঁজিবাজারে। জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়া ২২ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির প্রভাব পড়ে পুরো বাজারের। উত্থান দিয়ে শুরু হওয়া সপ্তাহের প্রথম দিনের শেয়ার বাজার শেষ হয় ৫৩ পয়েন্ট কমার মধ্য দিয়ে।
ডিবিএ'র সাবেক সভাপতি আহমদ রশিদ লালী বলেন, 'বিষয়টা খুব দ্বিধাপূর্ণ। আমাদের বিনিয়োগকারীরা তো কোন প্রস্তুতিই নিতে পারলো না। এসইসি ও ডিএসই'র মধ্যে আসলে কোনটা সত্য!'
তবে কিছু বাজার বিশ্লেষক এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। দীর্ঘদিন জাঙ্ক শেয়ারের দিকে ঝুঁকে থাকা পুঁজিবাজার এবার ভালো শেয়ারের দিকে ঝুঁকবে বলে আশা তাদের। তবে এলোমেলো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. আল আমিন বলেন, এখানে একটা সমন্বয়হীনতার ব্যাপার আছে। আর এটা আজ বা কাল যেতোই। কারণ দুইবছরের অধিক সময় হয়ে গেছে। এইবার তিনবছর হয়ে যেত। আর তিনবছর একটা কোম্পানিকে কোন আইনও কভার করে না।
২২ কোম্পানি নিয়ে মোট ৪৯টি কোম্পানির শেয়ার জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চ এর মোট লেনদেন হাজার কোটির ঘর না ছাড়ালেও বেড়েছে ১০৫টি শেয়ারের দাম আর কমেছে ২৫৪ টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।