বায়ান্নর ভাষা শহীদ আবদুস সালামের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে তার নিজ গ্রাম গ্রাম ফেনীর দাগনভূঞার সালাম নগরে প্রতিষ্ঠিত হয় ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। যা ছিল এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর দেখতে নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসতেন অনেকেই।
কিন্তু বর্তমানে নানা অব্যবস্থাপনায় গ্রন্থাগারটির আজ ভঙ্গুর দশা। নেই আগেরমতো পাঠক ও দর্শনার্থী। ফেনী জেলা পরিষদ থেকে মাস্টার রোল বেতনে একজন লাইব্রেরিয়ান ও কেয়ারটেকার দায়িত্ব পালন করলেও পাঠক দর্শনার্থী না থাকায় হতাশ তারাও।
গেল বছরের আগস্টের বন্যা সময় ডুবে যায় এই জাদুঘরের বই ও তাক। পরে রোদে শুকিয়ে বইগুলোকে কিছুটা পাঠযোগ্য করা গেলেও তাক নষ্ট হওয়ায় টেবিলের উপর স্থান পেয়েছে সেসব বই। যাতে অগোছালো অবস্থায় বেহাল দশায় পাঠাগার।
ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও জাদুঘর লাইব্রেরিয়ান লুৎফুর রহমান বলেন, ‘টেবিলের উপর রাখা বইগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে। ২০১৮ সালে সরকার যে বইগুলো আমাদের দিয়েছে এরপর আর কোনো নতুন বই আমাদের কাছে আসে নাই।’
স্থানীয়রা জানান, জাদুঘরটিতে লাইট না থাকায় সন্ধ্যার সময় দর্শনার্থীরা আসতে পারেনা। এছাড়া যাতায়াতের রাস্তার ভঙ্গুর দশায় অনীহা প্রকাশ করেন পাঠক ও দর্শনার্থীরাও।
অব্যবস্থাপনার এসব বিষয় স্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসন বলছে পাঠাগারের উন্নয়ন ও সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ফেনী দাগনভূঞাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় পাঠাগারে আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এজন্য সেখানে সংস্কার প্রয়োজন। জেলা পরিষদের মাধ্যমে আমরা বরাদ্দের জন্য চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলে আমরা সেখানে বই আসবাবপত্র ও অন্যান্য সংস্কারগুলো করা হবে।’
ভাষা আন্দোলনের শহীদ সালামের স্মৃতি রক্ষায় জাদুঘরটি রক্ষণাবেক্ষণ ও গণমুখী করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।