টানা দরপতনের মাথায় দেড় বছর আগে শেয়ার বাজারে ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দিয়েছিল সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন। সাময়িক সময়ের জন্য নেয়া এ সিদ্ধান্ত কারও জন্য আশীর্বাদ হলেও মার্জিন লোন নিয়ে ব্যবসা করা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পড়েন বিপাকে। বহুজাতিক কোম্পানিসহ দেশের ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারও ক্রেতাশূন্য হয়ে দাম আটকে থাকে সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে।
মূল্যস্তরে আটকে যাওয়ার প্রভাবে লেনদেন নেমে আসে ৩০০ কোটির ঘরে। অধিকাংশ শেয়ার হয়ে যায় ক্রেতাশূন্য। আর এই চক্করের পড়েই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা একদিকে গুনেছেন ঋণের সুদ; অপরদিকে লোকসানে থাকায় পারছিলেন না শেয়ার বিক্রি করতে। এভাবেই কেটে যায় দেড় বছর।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. আল আমিন বলেন, 'দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় তারা এখানে বিনিয়োগ করেছে। আমাদের সুদের হার ১২ শতাংশ থাকলেও ২২ থেকে ২৩ শতাংশ হয়েছে খুব সহজেই। এরপর ফ্লোরপ্রাইস উঠে দেয়ার আগে অবশ্যই অংশীজনদের সাথে বসে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ কী পরিমাণ আছে, কেমন ট্রিগার সেল আসতে পারে তার একটা এসেস্টমেন্ট করে এ ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল।'
দেশের শেয়ার বাজারের ঋণ ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি রয়েছে শেয়ার বাজার ব্রোকারেজ হাউজের মালিকদের। বিনিয়োগকারীদের দেয়া ঋণের শর্তের কারণে শেয়ার বাজারের সাপোর্ট হয়ে উঠতে পারছে না ঋণের টাকা- এমন মন্তব্য তাদের। উল্টো নির্দিষ্ট সময় পর চাপে পড়ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োকারীরা।
ডিবিএ'র সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, 'মার্জিন ঋণ দেয়ার সময় সবকিছুতে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এমনকি সেল অর্ডার ও বায়িং অর্ডারের কাগজেও স্বাক্ষর করিয়ে রাখে। যা বেআইনি। আমাদের মার্জিন ঋণের পদ্ধতি প্রায় ২০ বছর পুরানো। এটাকে প্রথমত যুগোপযোগী করতে হবে।'
ঋণ ব্যবস্থাপনা আইন পরিবর্তন করে বিনিয়োগকারীবান্ধব আইন প্রনয়নের দাবি বাজার সংশ্লিষ্টদের।