১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ১৬টি পণ্য আমদানির অনুমতি নিয়ে এলসি স্টেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করে ভোমরা স্থলবন্দর। ২০১৩ সালে ওয়্যার হাউজ নির্মাণের পর ভোমরাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। ভারতের কলকাতার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব দেশের যেকোনো বন্দরের চেয়ে কম হওয়ায় বেড়েছে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ।
তবে এই বন্দর দিয়ে এতদিন ৭২টি পণ্য আমদানির অনুমোদন থাকলেও পর্যাপ্ত শেড ও কিপিং লাইসেন্স না থাকায় আমদানি হতো মাত্র ২২টি পণ্য। তবে নতুন করে সকল পণ্য আমদানির অনুমতিতে স্বস্তি ফিরেছে আমদানিকারকদের মাঝে। এর মাধ্যমে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘এখানে সব ধরনের গাড়ি প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।’
এদিকে, বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস হাউজ এখনও চালু না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কাস্টমস হাউজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে এখানে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
আমদানি রপ্তানিকারক অ্যসোসিয়েশন ভোমরা সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব দিতে পারবো। আশা করি অতি দ্রুত কাস্টমস হাউজ চালু হবে।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আমদানি ও রপ্তানিকারক খুবই লাভবান হবে পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।’
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গেলো ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভোমরা বন্দর থেকে মোট ৯০৭ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। আগামীতে আমদানি রপ্তানির পরিমাণ বাড়লে রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।