মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ে মেট্রোরেল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে আমরা মেট্রোরেল চালু করবো। এছাড়াও মেট্রোরেলের পরিচালনা পর্ষদে কিছু পরিবর্তন করা দরকার ছিল, সেগুলো আমরা করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল নতুন বোর্ডের মিটিং হবে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত শেষে মেট্রো চলাচল থেকে শুরু করে লাইন দেখভালের কাজ করা হবে। এটি করতে একটু সময় লাগবে।’
সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে নাগরিক হিসেবে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, সবক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ছাত্রদের এ রক্তের ঋণ আমাদের পরিশোধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। আর এ জন্য দুর্নীতি রোধ করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এ সরকার বানের জলে ভেসে আসা সরকার না। সরকার যে কোন ধরনের জনকল্যাণমূলক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছ পা হবে না।’
নবনিযুক্ত সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকায় যাতে আর জায়গায় জায়গায় গাড়ি না থামে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘কত বড় প্রকল্প হয়েছে সেটা নয়, মাথা ঘামানোর বিষয় হবে মানুষের জীবনযাত্রার কতটা উন্নয়ন হয়েছে। আগের মত চেনা মুখের ঠিকাদারি হবে না, সত্যিকারের মুক্ত টেন্ডার হবে। ই-টেন্ডারের নামে এতদিন মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে।’
ঘুষ, দুর্নীতির বিষয়ে সড়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, ‘সড়ক পরিবহণ খাতের কেউ ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও সড়ক উপদেষ্টা, বিআরটিএসহ সব সেবার মান বাড়াতে হবে, ভোগান্তি দূর করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সড়ক নির্মাণ ব্যয় বাংলাদেশে পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এ অপবাদ ঘোচাতে হবে।’
এছাড়াও, সভায় উপদেষ্টা মহোদয় গুণগত মান বজায় রেখে সকল কাজে ব্যয় সংকোচনের পরামর্শ দেন এবং একই সাথে টেন্ডারিং এর কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো: এহছানুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।