বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত ১ নং খাস খতিয়ানের বন্দোবস্তকৃত জমি বুঝিয়ে দেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, 'দখলে থাকা বন্দোবস্তকৃত জমি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেডকে ১৫৭ দশমিক ২৯ একর জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।'
জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজানপাড়া এলাকায় ২০১৮ সালের জুনের দিকে ৩শ' ৭ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাঝেই সরকারি খাস জমি ভুয়া বন্দোবস্ত দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে রাখেন।
৪১ নং ছোট নিশানবাড়িয়ার মৌজার ১ নং খাসখতিয়ান ভুক্ত অকৃষি বাণিজ্যিক শ্রেণীর ছয়টি দাগের ৩২০ দশমিক ৯৭ একর থেকে ১৫৭ দশমিক ২৯ একর খাস জমি দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ২০২০ সালের দিকে বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানী লি.(বিইপিসিএল) ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে।
গত বছরের আগস্ট মাসে ঐ ছয়টি দাগ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ১৫৭.২৯ একর জমি বিইপিসিএলকে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। ঐ বন্দোবস্তের জমি জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় ভূমি মন্ত্রনালয়।
তবে, স্থানীয় লোকজন এবং সচেতন মহলের অভিযোগ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে নদী ও তিন ফসলি জমির অবৈধ দখল ও পরিবেশ দূষণের।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ধরা'র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল জানান, 'জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমিকেই প্রমত্তা পায়রার জমি বলে তদন্ত রিপোর্ট দেয়। নতুন করে ১৫৭ দশমিক ২৯ একর জমি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বুঝিয়ে দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপকূলের মৎস্যখাত, দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জীববৈচিত্র্যে। '