দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী, সবুজ প্রান্তর ছাপিয়ে শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় আঁকা অবারিত ফসলের মাঠ। ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে আউলিয়াপুরের পঁচা কোড়ালিয়া এলাকা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় যেখানে শুরু হয়েছে দিনবদল।
এখানে রপ্তানিমুখী ইপিজেডের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। গত ১ এপ্রিল জমির দলিল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। এতে ১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দরের সুফল পেতে ৪১৮ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে প্রকল্পটি।
ইপিজেড প্রকল্প এলাকার আওতায় আকলিমা বেগমের ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ সবটুকু পড়েছে। দেশের স্বার্থে স্থাবর সব সম্পত্তি দিতে রাজি তিনি। তবে বিনিময়ে পুনর্বাসন ও ইপিজেডে স্বজনদের কর্মসংস্থানের সুযোগ চান। তার মতো অনেকেই বৃহত্তর স্বার্থে জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ভিটেমাটি ও কৃষি জমি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দিতে চান।
আকলিমা বলেন, ‘আমি দেশের স্বার্থে এই ভিটেমাটি দেবো। এজন্য আমার ভবিষ্যতের নিশ্চয়তাও চাই। একইসঙ্গে আমার আত্মীয়-স্বজনের কর্ম হলে ভালো হবে।’
ইপিজেড এলাকার স্থানীয় অধিবাসীরাই এই প্রকল্পে কাজের অগ্রাধিকার পাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওবায়দুর রহমান।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কাজের মেয়াদ তিন বছর হলেও শুরুর বছরে প্রকল্পের প্রথমিক কাজ শেষ হবে। আর প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে অন্তত ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
২০২৬ সালে ইপিজেডের মূল কাজ শেষ হবে। প্রকল্পে ৪টি ৬ তলা কারখানা ভবন, ৩টি ১০ তলা ও ৪টি আবাসিক ভবনসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে।