১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রতি ১৭ জনে একজন টিনধারী। অথচ ১ কোটি ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের বিপরীতে জানুয়ারি পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে মাত্র ৩৭ লাখ। নানা বাধ্যবাধকতা ও রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর পরও সাড়া দেননি অর্ধেকের বেশি টিনধারী।
দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, বিদ্যুৎ বিল অনুযায়ী বাড়ির মালিকদের করের আওতায় আনা হবে। চাকরিজীবী ভাড়াটিয়া তার বেতনের বড় একটা অংশ বাড়িভাড়া বাবদ ব্যয় দেখালেও সরাসরি ভাড়ার টাকা হাতে পাওয়ায় সরকারকে সে আয়ের হিসাব দিচ্ছেন না বাড়িওয়ালারা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রাক বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, যেকোন মূল্যে মহানগর অঞ্চলের বাড়ির মালিকদের রিটার্নের আওতায় আনা হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘মহানগর এলাকার বাড়ির মালিকদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। বাড়ির মালিকদের রিটার্নের আওতায় আনার জন্য আমরা এখন স্পেশাল ড্রাইভ দিব।’
রাজস্ব ঘাটতির ক্রান্তিকালে আগামী অর্থবাজেটে বিভিন্ন ছাড় চেয়ে প্রস্তাব দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ই-কমার্স ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি খাতের ব্যবসায়ীরা।
চলতি অর্থবছরে ব্যাগেজ স্বর্ণের বারপ্রতি রাজস্ব দ্বিগুণ করে এনবিআর। নীতিমালায় এ পরিবর্তনের পর বৈধ পথে স্বর্ণ আনা কমলেও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ৬ মাসে সাময়িক লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৩ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকায় ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পুর্ননির্ধারণ করা হয়েছে।