হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের ২টি কূপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সঞ্চালন শুরু হয়েছে। কূপ দু'টি থেকে প্রতিদিন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কোম্পানি। এ দুটি কূপ যুক্ত হওয়ায় শুধু রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকেই জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়ালো ৬৬ মিলিয়ন ঘনফুটে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রশিদপুরের গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরিদর্শন শেষে রশিদপুর-২ ও রশিদপুর-৯ নম্বর কূপের উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সংযুক্তির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি জানান, ২ নম্বর কূপটি থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে। এছাড়া গ্যাসের বর্তমান গড় মূল্য বিবেচনায় এ কূপে উত্তোলনযোগ্য ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
একই সাথে ৫ বছর আগে খনন শেষ হওয়া রশিদপুরের ভার্টিকাল-৯ নম্বর কূপেরও উৎপাদিত গ্যাসের প্রসেসপ্ল্যান্টে সংযোজনের উদ্বোধন করেন তিনি। জানান, এখান থেকেও দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে ৭১৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে আর অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ রয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ বিলিয়ন ঘনফুট।
এখনো গ্যাস মজুতের বড় ভরসা রশিদপুরের এই গ্যাসফিল্ডটি। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের প্রায় অর্ধেকের বেশি যোগান দিয়ে থাকে এই গ্যাস ক্ষেত্রটি।
এটি প্রাকৃতিক গ্যাস এবং গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট উৎপাদনের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। গ্যাসক্ষেত্রের ১১টি কূপ থাকলেও আগে ৫টি কূপ সচল ছিলো। এর সাথে নতুন করে দু'টি কূপ সচল করায় ফিল্ডের উৎপাদিত কূপের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭টিতে। সাথে বেড়েছে উৎপাদন সক্ষমতাও।