উচ্চ কর হার নিরুৎসাহিত করে নতুন বিনিয়োগে। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসাবান্ধব ও সহনশীল কর্পোরেট করের হার নির্ধারণের দাবি সবসময়ই থাকে ব্যবসায়ীদের। যদিও গেলো অর্থবছরের বাজেটে এ ধরনের কর্পোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে।
আর কয়েক অর্থবছরে কমানো হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০ শতাংশ হলেও আনুষাঙ্গিক কর মিলে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশে। তাই আরও কাঁটছাট চান তারা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় পণ্য সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর কমানো, কৃষিজাত ও নিত্যপণ্যে উৎস কর প্রত্যাহার, আমদানি কর কমানো, সুপারশপে মূসক কমানো ও রাজস্ব আইনে পরিবর্তনসহ ভ্যাট-ট্যাক্স-কাস্টমসে শতাধিক প্রস্তাবনা দেয় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
তবে এনবিআর বলছে, গত কয়েক বছরে করপোরেট কর হার বেশ কমানো হয়েছে। এবার এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের ছাড়ের দিকে না তাকিয়ে বেসরকারি খাতকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বলেন, 'মেন্টালি চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যে সরকার চাইলে আমার কাছ থেকে আস্তে আস্তে সব সাপোর্ট নিয়ে নেবে। সরকার চাইলেও আমাকে আর সাপোর্ট করতে পারবে না।'
এদিকে কাস্টমসে সময় জটিলতা, করহার নির্ধারণে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণা সহায়তা নিয়ে ভিডিএস, টিডিএস ও আরটিএস বাস্তবায়নে এনবিআরের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেয় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এ প্রস্তাবে সায় দেন এনবিআর চেয়ারম্যানও।