আলোচনায় ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বাংলাদেশ ও জাপানের ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি প্রেরণকারী দেশ হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি জাপানের নির্মাণ, সেবা, উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ২০২৫ সালের মে মাসে জাপান সফরকালে দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে প্রেরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাপানি ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের বিষয় আলোচনায় তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের মধ্যে স্পেসিফায়েড স্কিল্ড ওয়ার্কার (এসএসডাব্লিউ) ফিল্ড টেস্ট চালু করায় জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, খাদ্য পরিবেশন, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন, মোটরগাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিমান পরিষেবা এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের অনুরোধ জানানো হয়।
আকিয়ামা বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘জাপানে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দক্ষ বিদেশি শ্রমশক্তির প্রয়োজন ক্রমেই বাড়ছে।’
তিনি এ বিষয়ে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সমন্বয় জোরদারের আহ্বান জানান।





