নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড়ের পাশের 'চামড়া পট্টি'। ঈদের দিন থেকেই ব্যবসায়ীদের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে এই আড়ৎ। তবে লবণের বাড়তি দরের কারণে ব্যবসায়ীদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
চামড়া সংরক্ষণের জন্য জেলায় প্রতি মৌসুমে প্রয়োজন অন্তত ৩৫০ টন লবণ, যার বাজারদর প্রায় ৭৪ লাখ টাকা। তবে প্রতি বস্তায় মোটা লবণের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে দেড়শো টাকা। এতে বিপাকে জেলার অন্তত ১৫০ জন চামড়া ব্যবসায়ী। তারা বলছেন, এ বছর বাড়বে চামড়া সংরক্ষণের খরচ।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ঠিক করা হয়েছে ৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর প্রতি বর্গফুট খাসির কাঁচা চামড়ার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রতিবছর সরকার দাম নির্ধারণ করলেও কম দামে চামড়া কিনেন ট্যানারি মালিকরা। ফলে সময়ের সঙ্গে কমছে চামড়ার গুদামের সংখ্যা। অনেকেই ছাড়ছেন এই ব্যবসা।
এদিকে গত ৫ বছরে ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া পান জেলার ছোট বড় ১৫০ ব্যবসায়ী। এসব টাকা ট্যানারি মালিকরা পরিশোধ করলে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ব্যবসায়ীদের।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো,.মোমতাজ হোসেন বলেন, 'কিছু কিছু ট্যানারি মালিকরা ১০-১৫ শতাংশ করে টাকা দিচ্ছেন। এই টাকার উপরেই আমাদের চামড়া ক্রয় করতে হবে।'
গত বছর জেলায় গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়াসহ প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার পিস চামড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল, যার বাজার দর ছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ বছরও একই পরিমাণ চামড়া কিনে প্রস্তুত করা হবে। তবে চামড়া শিল্পকে রক্ষা করতে সরকারের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।