শুধু উচ্চ ও মধ্যবিত্তের উষ্ণতা দিতে কম্বলের চাহিদা থাকলেও এখন বিত্তহীনরাও শীত থেকে রক্ষা পেতে ভরসা রাখছে কম্বলে। আমদানির পাশাপাশি দেশেও প্রস্তুত হচ্ছে কম্বল। দেশে কম্বলের বাজার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার। ব্যবসায়ীদের দাবি এ কারণেই লেপ তৈরিতে অনেকাংশে ভাটা পড়েছে।
আশির দশক থেকে দেশে কম্বলের ব্যবহার শুরু হয়। যার ব্যাপকহারে চাহিদা বাড়ে নব্বইয়ের দশকে। কম্বল তৈরির কাঁচামাল প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এ পণ্যের বর্তমান বাজার এখন ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে টেক্সটাইল খাতে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। টাকার অঙ্কে যা ৫১ হাজার কোটি টাকা। এসময় ম্যানমেইড ফাইবার ও ফিলামেন্ট আমদানি বেড়েছে ৪.৪ শতাংশ, নিট ফেব্রিক্স ২.১ শতাংশ।
আমদানি করা কম্বলের চাহিদা অনেক বেশি। মূলত পোশাক খাতের নিট বা সোয়েটার কারখানার পরিত্যক্ত কাপড় থেকে স্থানীয়ভাবে দেশীয় কম্বল তৈরি হয়। একসময় সাভার, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝুট কাপড় কিনে এনে সেলাইমেশিনে একটির সঙ্গে আরেকটির জোড়া দিয়ে কম্বল তৈরি করা হতো। যা ঝুট কম্বল হিসেবেই পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে এর চাহিদা বাড়ায় উলের নতুন রোল কিনে এনে কম্বল তৈরি হচ্ছে।
কামনা ডাইং টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিমাংশু কুমার সাহা লিটন জানান, এই শিল্পকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ব্যাংকিং সুবিধার সাথে বাড়াতে হবে জ্বালানি সরবরাহ।
রপ্তানিকারক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এসব কম্বল তৈরি পোশাক শিল্পে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সম্ভব। বিশেষ প্রণোদনার পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা পেলে এ খাত আরও সমৃদ্ধ হবে বলেও মনে করেন তারা।