বিমান টিকিটে নির্ধারিত ওজনের পণ্য ও ব্যাগেজ পরিবহনে রয়েছে বাধ্যবাধকতা। তাই দেশে বাড়তি মালামাল প্রেরণের ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রবাসীর ভরসা ছিল কার্গো প্রতিষ্ঠান। অথচ মধ্যপ্রাচ্য থেকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে আকাশ ও সমুদ্র পথে কার্গো পরিবহন। দেশের বন্দরে পণ্য আটকে থাকায় এই খাতে লোকসানের মুখে পড়েছেন বহু প্রবাসী ব্যবসায়ী। অনেকেই ছেড়েছেন ব্যবসা। এতে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কর্মসংস্থানে নেমেছে দুর্যোগ।
এ ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে যারা কার্গো ব্যবসায় ছিল তারা এখন ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসায় চলে গেছেন। কারণ গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে না পারলে ব্যবসায় টিকিয়ে রাখা কঠিন। এছাড়া দেড় বছর ধরে কার্গো কার্যক্রম সীমিত। কার্গোতে পাঠানো মালামালগুলোও এয়ারপোর্টে আটকে যাচ্ছে।
চীন ও মালয়েশিয়াসহ কিছু দেশ থেকে কার্গো মালামাল পরিবহন হচ্ছে ঢাকায়। তবে সিলেট ও চট্টগ্রামে মাল খালাসে বিপত্তির অভিযোগ মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়ীদের। প্রায় দুই বছর ধরে কয়েকটি দেশের মালামাল চট্টগ্রামে আটকে থাকারও অভিযোগ করছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, 'অনেক পচনশীল মালামাল রয়েছে। যেমন- ফুড আইটেম, চকলেট, দুধ, ট্যাং - এগুলো সব নষ্ট হয়ে গেল।'
মধ্যপ্রাচ্য থেকে কার্গোতে দেশে মালামাল পাঠানোর খরচ পাকিস্তান ও ভারতের তুলনায় বেশি। সঙ্গে যুক্ত হয় পণ্য পৌঁছানোর দীর্ঘ সময়। তবুও প্রিয়জনের কাছে ভারি ও মূল্যবান সামগ্রী প্রেরণে প্রবাসীদের আস্থা এখনো কার্গোতেই। তাই এ খাতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান প্রবাসীরা।
প্রবাসীরা জানান, 'এখান থেকে কার্গোতে মালামাল দেশে গেলে ব্যবসার উন্নতি হবে। পাশাপাশি দেশে রেমিট্যান্স বেড়ে যাবে। এতে বাংলাদেশ সরকারও লাভবান হবে।'
প্রবাসীদের আশা, দেশে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত সময়ে খালাস করার পাশাপাশি খাত সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্ভাবনাময় কার্গো খাত পুনরুজ্জীবিত হলে বাণিজ্যিকভাবে প্রবাসীরা যেমন হবেন সমৃদ্ধ, তেমনি দেশে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ।