মেলায় এবার বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান ১০৬.৯২ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মেলার শেষ দিন এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। গেল বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ অর্ডার পেয়েছে সিটি গ্রুপ। ২০২৩ সালে ২২ থেকে ২৫টি দেশে পণ্য রপ্তানি হলেও এবার যুক্ত হয়েছে আরও ৮টি নতুন দেশ। সিটি গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর লুৎফুল কবির বলেন, 'বায়ারদের উপস্থিতি এবং প্রতিক্রিয়া খুব ভালো। শেষ দিনে আমরা গতবছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ক্রয়াদেশ পেয়েছি। বিশেষ করে বিস্কুটে আমরা অনেক সাড়া পেয়েছি।'
দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৩৩৬ বর্গমিটার জায়গা ভাড়া নিয়ে গালফুড মেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশ। দেশিয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের লক্ষ্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গুণগত মানের পাশাপাশি এবার গুরুত্ব দিয়েছে প্যাকেজিংকে। সে অনুযায়ী সাড়াও মিলেছে।
বোম্বে সুইটসের জেনারেল ম্যানেজার খুরশীদ আহমাদ ফরহাদ বলেন, 'আমরা এতো কষ্ট করে এ জায়গাটাতে এসেছি। দোকানে আমরা নিজেরাই বসার জায়গা পাচ্ছি না। ক্রেতাদেরও বসতে দিতে পারছি না। তাই তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে যাচ্ছে।'
আগামীতে বাংলাদেশের জন্য মেলার পরিসর বাড়ানোসহ আলাদা প্রচারণার জন্যে ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে পরিসর বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে বলে জানান বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার। বলেন, 'বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি'র নির্দেশনা অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের প্রয়োজন অনুসারে জায়গা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা কথা বলবো।'
দুবাইয়ে এই মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতা যাচাইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। শেষদিনেও বায়ারদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার করেন ব্যবসায়ীরা। বর্হিবিশ্বে বড় প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা, গুণগত মান যাচাই ও রপ্তানি চাহিদা তৈরিতে সক্ষমতা বাড়ছে বলেও জানান তারা।