বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির ফলে ২২ বছরের জন্য টার্মিনালটি পরিচালনার সুযোগ পেল রেড সি।
চুক্তি সইয়ের পর যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে অপারেশনে যাবে রেড সি। পিপিপি নীতিমালার আওতায় জি টু জি মডেলে চুক্তি হবে। টার্মিনাল পরিচালনায় এককালীন চট্টগ্রাম বন্দরকে ২০ মিলিয়ন ডলার দেবে রেড সি।
এছাড়া বন্দরের চ্যানেল , ড্রেজিং , রক্ষনাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রতি বছরই দেবে আড়াই লাখ ডলার। যা প্রত্যেক বছর ২ দশমিক চার শতাংশ করে বাড়বে। প্রতি কনটেইনারে বন্দর রয়্যালিটি পাবে ১৮ ডলার করে। সেই সঙ্গে মেরিন সার্ভিস বাবদ পুরো আয় থাকছে বন্দরের হাতে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অপারেটর ঠিক না হওয়ায় এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনাল এত দিন অলস পড়ে ছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯৪ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়। আবার মূল রপ্তানি বাণিজ্যের ৯৮ শতাংশ এ বন্দর দিয়ে হয়। প্রতি বছর জাহাজ, কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়তে থাকায় তা সামাল দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি ২৬ একর জায়গা নিয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। আর এই টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় দেশে প্রথমবারের মতো বিদেশি কোম্পানি এই দায়িত্ব পেয়েছে।