নতুন জামা-জুতা আর প্রসাধনীর খোঁজে শপিংমলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
একটা সময় নগদ টাকা ছাড়া লেনদেন করার কোনো উপায় না থাকলেও এখন সময় বদলেছে, প্রযুক্তির উৎকর্ষে বিল পরিশোধের পদ্ধতিতে এসেছে ডিজিটাল ব্যবস্থা। যা কেনাকাটাকে করেছে সহজ, ক্রেতাদের দিয়েছে স্বস্তি।
ঈদ শপিংয়ের নির্দিষ্ট বাজেট থেকে কিছু টাকা সাশ্রয় করতে চান সবাই, এছাড়া সঙ্গে থাকা নগদ অর্থের নিরাপত্তা নিয়েও থাকে দুশ্চিন্তা। তাই চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের ঝুঁকি এড়াতে ক্রেতাদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডিজিটাল লেনদেন।
ক্রেতারা বলছেন, অ্যাপসের মাধ্যমে যেমন তাদের অর্থ নিরাপদ থাকছে তেমনি ঈদ শপিংয়ে পছন্দের পোশাক, প্রশাধনীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় যেকোনো পণ্য কিনে বিল পরিশোধ করে যে টাকা ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন তা দিয়ে আরও কিছু কেনার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বিকাশ আসলে ক্যাশলেস পেমেন্ট। এইটা আমাদের জন্য এখন খুব ইজি।’
আরেকজন বলেন, ‘বিকাশে পেমেন্ট করলে একটা ডিসকাউন্ট রয়েছে।’
শুধু অফলাইনেই নয়, অনলাইনের কেনাকাটায়ও রয়েছে এমন সুবিধা। বিক্রেতারা বলছেন, অনলাইনে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে খুচরো টাকার ঝামেলাও কমেছে।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বিকাশে পেমেন্ট করলে আমাদের কাস্টমার ইস্টার্ন ২০০ টাকা ডিসকাউন্ট পাচ্ছে।’
আরেকজন বলেন, ‘অনলাইন লেনদেন বেশি হচ্ছে। যেমন বিকাশ ও কার্ড পেমেন্ট। ক্যাশ লেনদেন তুলনামূলক কম।’
আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ৪৯ টি ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ এনে বিল পরিশোধ করা যায়।
বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘ওয়ালেটে টাকা নাও থাকে যেকেউ অতিদ্রুত ব্যাংক কিংবা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে পেমেন্ট করতে পারবে। অথবা পে-লেটারের মাধ্যমে পণ্য কিনে পরে টাকা পেমেন্ট করার সুবিধা থাকছে।’
পণ্য কিনে পরবর্তীতে বিল পরিশোধের সুবিধাও থাকছে এ সেবায়।