গেল মাসে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে আসা প্রবাসী আয় গেল ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২০ কোটি ডলার। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রেমিট্যান্সের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা ১৫৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রণোদনা অব্যাহত এবং খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকের ডলার দামের পার্থক্য অনেকটা কমে আসায় রেমিট্যান্সের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলেও বেড়েছে প্রবাসী আয়।
এদিকে ফেব্রুয়ারি মাস শেষে বেড়েছে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ। আইএমএফের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল-৬ অর্থাৎ বিপিএম-৬ অনুযায়ী এ মাসে রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষে মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫.৭৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময় আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী নিট রিজার্ভ ২০.৫৭ বিলিয়ন ডলার। যেখানে মোট রিজার্ভ জানুয়ারিতে ছিল ২৫.৯ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলার।
খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকের ডলার মূল্যের পার্থক্য এরকম কম রাখা গেলে রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন অনেকে।