এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (নীতি) অনুবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় জারিকৃত ৮টি আদেশ/প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের যেকোনো আয়ের ওপর আরোপণীয় আয়কর, সুপারট্যাক্স বা ব্যবসায়িক মুনাফা কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
পরবর্তী সময়ে, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর সিক্সথ শিডিউল পার্ট এ এর প্যারা ওয়ানএ এবং আয়কর আইন, ২০২৩ এর ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ১ এর দফা (১৩) মোতাবেক মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো সত্তার ক্ষুদ্র ঋণ কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত যেকোনো সার্ভিস চার্জ করমুক্ত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এবং তৎপরবর্তী প্রণীত গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কোনো তফশিলি ব্যাংক নয় এবং প্রতিষ্ঠানটি মূলত ক্ষুদ্র ঋণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। সমজাতীয় সেবা অর্থাৎ ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত না হওয়ায় আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংক একই প্রকার কর অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে না।
অন্য সকল ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ন্যায় গ্রামীণ ব্যাংককে অনুরূপ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর আওতায় ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উক্ত প্রতিষ্ঠানকে কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সমজাতীয় ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় গ্রামীণ ব্যাংক অনুরূপ কর অব্যাহতি সুবিধা না পাওয়ায় বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনে আয়কর আইন, ২০২৩ এর আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে ২০২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক অর্জিত সকল আয়কে শর্তসাপেক্ষে কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।