যেসব ব্যাংক ঋণ সহায়তা পাবে সেগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি, এক্সিম, এনবিএল ও এসআইবিএল ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নিজেদের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে ও গ্রহীতা ব্যাংকের চাহিদার ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঋণের অঙ্ক ঠিক করেছে। তবে তা যথেচ্ছা যেনো না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কয়েক বছরের আর্থিক খাতে টানা দুর্নীতি অনিয়ম আর নয় ছয়ে তারল্য সংকটে প্রায় ডুবন্ত নয়টি ব্যাংক। টাকা ছাপিয়ে সহায়তা করে সবল দেখানো হয় ব্যাংকগুলোকে। অথচ কোন কোন ব্যাংকের সম্পদ দায়ের হিসেবে তারল্যও গিয়ে ঠেকে শূন্যের কোঠায়।
এসব ব্যাংকে ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, টাকা না ছাপিয়ে সবল ব্যাংকগুলো তাদের লেনদেনের উদ্বৃত্ত থেকে সহায়তা করতে পারবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে। নানা দেন দরবার আর মধ্যস্ততায় প্রায় এক মাস পর বুধবার ফাস্ট সিকিউরিটি, ইসলামী, এক্সিম, এনবিএল, এসআইবিএল এই পাঁচটি ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকার বেশি সহায়তা দিলো ৬ সবল ব্যাংক।
কোন কোন ব্যাংক একাধিক ব্যাংক থেকেও ঋণ পেয়েছে।
এর মধ্যে সিটি ব্যাংক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৭শ' কোটি টাকা ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে দেড়শ' কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। দাতা ব্যাংকের তালিকায় আরো রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি, ডাচ বাংলা, বেঙ্গল ও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক।
বাকি চার দুর্বল ব্যাংকও ঋণদাতা ব্যাংকের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি সহায়তা পাবে।