সাধারণত ব্যাংকগুলোর ছয় মাসের আর্থিক হিসাব শেষ হয় ৩০ জুন। সারাদেশের বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্রিত করে অর্ধ-বার্ষিক ব্যালেন্স শিট প্রস্তুত করে থাকে। হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করার কারণে ৩০ জুনের পরদিন অর্থাৎ ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে পালন করা হয়।
প্রথা অনুযায়ী, বছরে দুই দিন ব্যাংক হলিডে পালন করা হয়। যেখানে একদিন ১ জুলাই এবং আরেক দিন হলো বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর। পুরো বছরের আর্থিক হিসাব চূড়ান্ত করা হয় এই দিনে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অর্ধ-বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করতে পঞ্জিকা বছরে জুনের শেষ দিনটিতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মীরা।
প্রতি বছর বাংলাদেশ ব্যাংক যে ছুটির তালিকা তৈরি করে সেখানে এ দু’দিনকে ব্যাংক হলিডে ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের ছুটির তালিকা ঘোষণা করার সময়েও এই দু’দিনকে ব্যাংক হলিডে ঘোষণা করা হয়।
ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ থাকলেও ব্যাংক হলিডেতে গ্রাহকেরা কার্ডের মাধ্যমে সীমার মধ্যে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। নীতি অনুযায়ী, ব্যাংক হলিডেতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন বা দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে না।
এদিকে পুঁজিবাজারের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের পর অর্থ লেনদেন হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকে। সেজন্য আগামীকাল পুঁজিবাজারের শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে, তবে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। এর পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার যথারীতি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত সাধারণ নিয়মে খোলা থাকবে ব্যাংক।