মূলত মানববন্ধন থেকে বক্তারা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাকাবের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানান।
রাকাবের সাবেক কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) গঠনের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিকঠাক বেতনই পেতো না। সেই অবস্থা থেকে রাকাব এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সেবার মানও অনেকাংশে বেড়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে অনলাইনে কৃষকরা বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক রাকাবের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। রাকাবকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হলে গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘১৯৮৭ সালে সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নীতির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের তৎকালীন রাজশাহী বিভাগকে আলাদা করে রাকাব গঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘ তিন দশকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) উত্তরাঞ্চলের কৃষকসহ সবস্তরে মানুষের কাছে নির্ভরশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা অর্জন করে। এমনকি সেবা নিশ্চিতকরণে ২০১৪ সালে রাকাব আইন পাস হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীতে প্রধান কার্যালয় হওয়ায় গ্রাহকরা সহজেই তাদের সমস্যার সমাধান পান। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে এখানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাড়বে।’
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বগুড়া জোনের সভাপতি ও সাবেক রাকাব কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন খান বলেন, ‘রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক উত্তরাঞ্চলের আপামর জনগণের সেবা নিশ্চিতের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই ব্যাংকের কোনো তারল্য সংকট নেই। প্রতি বছর ব্যাংকটি মুনাফা করছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করলে উত্তরবঙ্গের লোক তথা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তিতে পড়বেন।’
মানববন্ধনে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, রাকাব কর্মচারী সংসদ, সচেতন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যানারে প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন।