বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ব্যাংক সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথমে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এরপর কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক এবং অপর একটির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে এই ১০ ব্যাংক একীভূত করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে একীভূত করার প্রয়োজন দেখা দিলে তখন ভাবা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক মার্জারের আমরা সরকারি-বেসরকারি ৫টি প্রপোজাল পেয়েছি। আপাতত এই প্রস্তাবগুলোর বাইরে আর নতুন কোনো প্রস্তাব নেবো না। এই পাঁচটি প্রস্তাবের আওতাধীন (১০টি) ব্যাংক একীভূত করার পরে প্রয়োজন হলে নতুন মার্জারে যাওয়া হবে। এগুলোর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোনো ব্যাংক মার্জার করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।’
মেজবাউল হক বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত করতে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অডিটর নিয়োগ, সম্পদ ও দায় ঠিক করা, শেয়ার দর ঠিক করা ও শেয়ার অংশ নির্ধারণে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এই পাঁচ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে আমরা (বাংলাদেশ ব্যাংক) অভিজ্ঞতা নেব। অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন আছে, তারপর দেখা যাবে।’
পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে কোন কোন ব্যাংক রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকগুলোর মধ্যে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক রয়েছে। বাকিগুলোর নাম তো গণমাধ্যমে চলে এসেছে।