কাস্টম হাউজে রূপান্তরিত হলো সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর

র‌্যালি
র‌্যালি | ছবি: এখন টিভি
0

দীর্ঘদিনের দাবির পর অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কাস্টম হাউজে রূপান্তরিত হলো সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোমরাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাস্টম হাউজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। আজ (বুধবার, ২২ অক্টোবর) বিকেলে ভোমরা বন্দরে আনন্দ র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে ভোমরা সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।

র‌্যালিটি সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বন্দরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নবঘোষিত কাস্টম হাউজের সামনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসময় সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. আবু হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর ইসলাম হবি, আলীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানসহ বন্দরের কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

এসময় বক্তারা অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম স্থলবন্দর ভোমরা। প্রতিদিন শত শত ট্রাকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় এই পথে।

আরও পড়ুন:

দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, খুলনা কাস্টম হাউজের পরিবর্তে ভোমরাতেই যেন নিজস্ব কাস্টম হাউজ স্থাপন করা হয়। অবশেষে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে সরকারের সদ্য ঘোষণায়।

অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, ভোমরাকে কাস্টম হাউজে উন্নীত করায় এখান থেকেই এখন পূর্ণাঙ্গ রাজস্ব প্রশাসন, শুল্ক নির্ধারণ, আমদানি-রপ্তানি নথি যাচাই ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা যাবে। ফলে ব্যবসায়ীরা আর খুলনা কাস্টম হাউজের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না।

বর্তমানে ভোমরা দিয়ে ভারত থেকে খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, পোশাক, কসমেটিকসসহ নানা পণ্য আমদানি হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় কৃষিপণ্য, মাছ ও বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য।

বক্তারা আরও বলেন, কাস্টম হাউজে উন্নীত হওয়ার ফলে প্রশাসনিক জটিলতা হ্রাস, সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও সীমান্ত বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

সেজু