বেক্সিমকোর কাছে ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়-দেনা ৫০ হাজার কোটি টাকা

পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি

0

ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ, হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রুপটির আরও আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত চলমান রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি।

দেশের বহুজাতিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু। যাদের পণ্য রপ্তানি হয় ৫৫ টি দেশে। শেয়ার বাজারে রয়েছে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ৭০ হাজার কর্মীর প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো সব সময় আর্থিক খাতে আলোচিত ও সমালোচিত নাম।

বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান এফ রহমান একাধিক মামলায় কারাগারে আছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ও দাপুটে উপদেষ্টা।

অভিযোগ আছে- আওয়ামী লীগ সরকারের আর্থিক খাতের একক নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব ছিলো সালমান এফ রহমানের হাতে। গ্রুপটির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকা ও বিপুল অঙ্কের ঋণ আত্মসাৎ করা।

চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বেক্সিমকোর কাছে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা সাড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা। গ্রুপটির ১৮৮টি কোম্পানির মধ্যে ৭৮টি কোম্পানি ঋণ নিয়েও পরিশোধ করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া এই প্রতিবেদন রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।

শুনানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী জানান, দেশের আর্থিক খাতের এতো বড় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। পরবর্তী শুনানির জন্য ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন উচ্চ আদালত।

বেক্সিমকো গ্রুপকে শুধু জনতা ব্যাংকই ঋণ দিয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকা। আর নিজের পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন আইএফআইসি ব্যাংকসহ, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি, রূপালী ব্যাংক থেকেও নেয়া হয়েছে বিশাল অঙ্কের ঋণ। যা বিতরণে কোনো ধরনের নিয়মকানুন মানা হয়নি।

আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্তসহ বেক্সিমকো গ্রুপ পরিচালনার জন্য আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

এএইচ