ভোর থেকেই বরিশালের পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামে ব্যস্ততা বাড়ে শ্রমিকদের। নদীর ভালো মানের ইলিশ বাছাই, প্রক্রিয়াজতকরণ শেষে প্যাকেট করতে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। এ কাজে বাড়তি টাকা পাওয়ার আশায় খুশি শ্রমিকরা।
আর ইলিশ রপ্তানির ফলে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে অন্যদিকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এর আগে গেল বুধবার দূর্গা পূজা উপলক্ষে ৩ হাজার টন ইলিশ ভারতের রপ্তানি অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
শ্রমিকদের মধ্যে একজন জানান, ইন্ডিয়ায় মাছ যাচ্ছে আর আমাদেরও কাজ বাড়ছে। আমরা অনেক খুশি।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সু জাহাঙ্গীর কবির সরকার বলেন, ‘ভারতের একশো চল্লিশ কোটি বাজার আমরা ধরতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের যে অর্থনীতি সেখানে অনেক বড় অবদান রাখবে। তাই ইলিশ রপ্তানির যে বিষয়টি সেটি যেমন এখন করছি আগেও করেছি। কিন্তু এই বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখতে হবে আমাদের আরো অনেক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। সেগুলো আমরা যাতে ভারতের বাজারে নিয়ে যেতে পারি। যাতে করে আমরা বাংলাদেশকে আরো অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’