২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি ছিলো এনবিআরের। চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার বড় লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছে সংস্থাটি। ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আয়কর থেকে তুলতে হবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকার পতনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে এনবিআর চেয়ারম্যানও।
এনবিআর বলছে, এখন পর্যন্ত প্রথম মাস জুলাইয়ের হিসাব করেছে তারা। আয়করে এক মাসে ৮ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। ঘাটতি সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।
গেল ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে রিটার্ন গ্রহণ শুরু করেছে এনবিআর। এপর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা পড়েছে ২০ হাজার। সোমবার ই-রিটার্নদাতাদের জন্য ফোনসেবা চালু করেছে সংস্থাটি। এনবিআর চেয়ারম্যান বলছেন, দেশে আয়কর দেন সক্ষম ব্যক্তিরও তিন ভাগের এক ভাগ। সবাইকে করের আওতায় আনতে কাজ করছেন তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমার ৪৪ লাখ রিটার্নের মধ্যে ৫ লাখ কেন দিবে? সমস্যা কোথায়?। আমরা এখন সরাসরি করদাতাদের কাছ থেকে শুনতে চায় রিটার্ন দাখিলের সময় কি ধরনের সমস্যায় পড়েন। তাদের সমস্যা অনুযায়ী আমরা অ্যাকশন নিতে চায়।’
কোম্পানি কিংবা ব্যক্তি, কর ফাঁকি দিলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আদালতে না গিয়ে এডিআর-এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা উচিত বড় করদাতাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা কর ফাঁকি দিয়েছে তাদেরকে আমরা ট্রেস করবো। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই করের টাকা নিয়ে আসবো।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে সার্ভিস সেন্টার চালু করলো এনবিআরের আয়কর বিভাগ।