ভারতীয় হাই কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের অন্তত ২০ টি চুক্তি ও ৬৬ টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তবে এসব চুক্তির শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গেল ৫ আগস্ট কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপরই ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে যেসব চুক্তি বা প্রকল্প ভারতের রয়েছে, তার বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চলে নানা আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মারও ব্যস্ততা বাড়ে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠক করেন দফায় দফায়। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) প্রথম বৈঠকে বসেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে।
প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতসহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে কাজ করবে ভারত।’
তিনি বলেন, 'ভারতের সাথে চলমান কোন প্রকল্প স্থগিত হয়নি। বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পে কাজ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশুগঞ্জ ও আখাউড়া সড়কের মতো কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুতই ফিরে আসবে ও কাজ শুরু হবে।'
ভারত থেকে বাংলাদেশের ঋণের অর্থ ছাড় করার বিষয়েও সমস্যা নেই। আগের মতই এই সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেবে ভারত। ভিসা বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
আর বৈঠক শেষে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা হয়েছে বলে জানালেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে কোনো কাজ থেমে নেই। বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ আরও বেশকিছু বড় বড় প্রকল্পে তারা আগ্রহ দেখিয়েছে।’
ভারত থেকে তিনবারে লাইন অফ ক্রেডিটের মাধ্যমে ৭৩৬ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলার পাওয়া গেছে- বাকিটাও দেবে ভারত। তবে আজকের বৈঠকে ভারতের ভিসা ইস্যু নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ও ভারতীয় হাইকমিশনার।