সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত স্বর্ণব্যবসা ক্রমেই পরিসর বাড়ছে বিশ্ববাজারে। শুধু তাই নয়, উন্নত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্বর্ণের মজুতসহ বহুমুখী ব্যবহার নতুন মাত্রা পেয়েছে স্বর্ণশিল্পে।
এরই প্রেক্ষাপটে দেশে নতুন জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরাতন কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনসহ রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে আয়োজন করা হয় দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক মেশিনারিজ প্রদর্শনীর।
'গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া' প্রতিপাদ্যে আয়োজিত প্রদর্শনীতে সারাদেশের ৫ হাজারের বেশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীর ঢল নামে রাজধানীর আইসিসিবিতে। তিনদিনের এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে দেশীয় ৫টি, ভারতের ৮টি, ইতালি ও তুরস্কের ২টি, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের ১টিসহ মোট ১০ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
প্রদর্শনী বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'বালা টেস্ট করার মেশিনে টেস্ট করলে তখন আর কনফিউশন থাকবে না কিনে ঠকছি কিনা।'
প্রদর্শনীর স্টল ঘুরে আধুনিক মেশিনারিজের উপযোগিতা স্বর্ণব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তুলেছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের সাড়া পেয়ে খুশি বিক্রয় প্রতিনিধি ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
দর্শনার্থদের একজন বলেন, 'এসে অনেক কিছু জানতে পারতেছি, যা আগে জানা ছিল না।'
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাজুসের মুখপাত্র জানান, স্বর্ণশিল্পের রূপান্তর ঘটাতেই এই আয়োজন। কিন্তু এ ব্যবসাকে বাধাগ্রস্ত করছে স্বর্ণ চোরাচালান। তাই এসব বন্ধ করে বিশ্ববাজারের সাথে তালমিলিয়ে স্বর্ণব্যবসা করার প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাজুসের মুখপাত্র ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, 'অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির কারণে এই শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। এই আমদানি বন্ধ করতে হবে।'
প্রদর্শনীর শেষ দিনে আয়োজকরা ঘোষণা দেন, আগামী বছর ১১-১৩ সেপ্টেম্বর ২য় আন্তর্জাতিক মেশিনারিজ প্রদর্শনী মহাসমারোহে আয়োজন করবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস।