পরিদর্শন দলে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন ত্রিপুরার সীপাহিজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মজুমদার। তারা দুইজন হাটের দুই দেশের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে ২০১৫ সালে কসবার তারাপুর সীমান্ত এবং সীপাহিজলা জেলার কমলাসাগর সীমান্তে চালু করা হয় হাটটি। এতে দুই দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান রয়েছে।
তবে করোনার প্রকোপ দেখা দিলে ২০২০ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাটটি বন্ধ ঘোষণা করে দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাটটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।
দু’দেশের পক্ষ থেকে আজ হাট এলাকা পরিদর্শন করা হয়। ছবি: এখন টিভি
জেসমিন সুলতানা বলেন, 'পরিদর্শন শেষে দুই দেশের কমিটির আলোচনার মাধ্যমে হাট খোলার জন্য সম্ভাব্য তারিখ ২৯ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের তরফ থেকে হাটে নতুন বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে তাজা মাছ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া হাটে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ছাড়া অন্য ক্রেতারা যেন হাটে প্রবেশ করতে না পারেন, সেটিও কঠোরভাবে তদারকি করা হবে।'
আর সীমান্ত হাট দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন ভারত অংশের সুব্রত মজুমদার। এ সময় দুই দেশের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।