তিন দিনের সফরে বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা আইএমও মহাসচিব। আইএমও জাতিসংঘের অধীনে থাকা দেশগুলোর নৌ পরিহন সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্র ও বায়ু যাতে দূষিত না হয়, তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে।
সফরের প্রথম দিনে আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইএমও মহাসচিব। এ সময় বিশ্বব্যাপী নৌপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশ কিভাবে ব্যবসা বাণিজ্য আরও প্রসার করতে পারে, তা নিয়ে সরকারপ্রধানের সাথে আলোচনা হয় এন্টোনিওর।
পরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ খানের সাথে বৈঠক করেন আইএমও মহাসচিব। এ সময় জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে আইএমও সহযোগিতা করায় মহাসচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।
পরে নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের জাহাজ যখন বিভিন্ন দেশের বন্দর ব্যবহার করে থাকেন, তখন ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতা হয়। আইএমও মহাসচিব জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের সব দেশের অন এরাইভাল ভিসা সহজে পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'গ্রিন শিপিয়ার্ড করার ব্যাপারে এবং ডি কার্বনাইজেশনের ব্যাপারে যে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত বছরে আইএমও ফ্লোরে আমাদের একটা প্রেজেন্টেশনও দিয়েছি। সে ব্যাপারে তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। ভিসা জটিলতা যেন না থাকে সে ব্যাপারে তিনি আশাব্যক্ত করেছেন।'
এরপর দুপুরে আইএমও মহাসচিব মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ সরাসরি নৌ সেক্টরের সাথে জড়িত। আইএমও মহাসচিব বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতকে সবধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিপ রিসাইক্লিংকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটা আরও গতিশীল হবে। যত দ্রুত আমরা এটা করতে পারবো আমাদের জন্য তত ভালো হবে।'
তিন দিনের সফরে আইএমও মহাসচিব সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালসহ নৌপরিবহন খাতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার কথা রয়েছে।