৩ বছর আগে গঠন করা ইউ-এস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিকে নতুন এক উচ্চতায় নেয়া। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা যাতে বাংলাদেশে সহজে ব্যবসা বিস্তার করতে পারে সেখানে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি নেতাদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা।
কাউন্সিলটির এবারের ঢাকা সফরের প্রতিনিধির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক ও প্রযুক্তি ব্যবসা মহিরুহরা। মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে কাউন্সিলের এ সভায় দেখা গেলো মেটা, অ্যামাজন, বোয়িং, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড, কোকাকোলার প্রতিনিধিদের। তাদের সঙ্গে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ থেকে জানানো, এসব কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা বিস্তার করতে চায়। লক্ষ্য দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'আমাদের লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আমাদের যে দুরত্ব আছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সেট বিজনেস কানেকশনের মাধ্যমে কমে যাবে।'
বিদেশি এসব বিজনেস জায়ান্টরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে দেশের মানুষের উপকার হবে বড় দাগে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু নীতিগত দুর্বলার কারণে এসব সামাজিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মতো দেশীয় কোম্পানিগুলো যে বর্হিবিশ্বে বাণিজ্য সেবা বিস্তার করতে পারছে না তার কী হবে? বিশেষ করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, শেয়ারবাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ উঠিয়ে নেবার ব্যাপারে।
তিনি বলেন, 'যাদের টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে তাদের কাছে প্রশ্ন করলে মনে হয় উত্তর পাওয়া যাবে। আমার কাছে যে প্রশ্নের উত্তর আছে আমরা ২০২৪ থেকে ২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে ডেভেলপ কান্ট্রিতে পরিণত হবো। এই দুই বছরের মধ্যে আমরা বিভিন্ন দেশের মার্কেট অ্যাক্সেস করতে চাই।'
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের এই বাণিজ্য দলটি জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ইক্যুইটি, অ্যাভিয়েশন, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেডিকেয়ার এবং অন্যান্য প্রধান খাতগুলো নিয়েও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।