চট্টগ্রামে প্রতিবছর সবোর্চ্চ ৪৫টি চা নিলাম হয়। তবে, সদ্য শেষ হওয়া বছরে রেকর্ড ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন হওয়ায় এবছর ৫০টি নিলাম করার সিদ্বান্ত নিয়েছে চা বোর্ড।
তবে শীতের রুক্ষতায় সজীবতা হারায় চা গাছ, সাথে কমে যায় চা পাতার মান। এমন অবস্থায় সোমবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত মৌসুমের ৪৩তম নিলামে তোলা হয় ৩২ লাখ কেজি চা। তবে মান ভালো না হওয়ায় অনেক চা অবিক্রিত থাকছে। সাথে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমছে চায়ের দাম।
চা নিলামকারী প্রণব সাহা বলেন, 'ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ চা স্টক করার কথা, তারা সে পরিমাণ করে রেখে দিয়েছে। তবে দাম অতিরিক্ত বেশি।'
ওমামা টি সাপ্লাই স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাই কুতুবী বলেন, 'ভালো পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেশি। আর মাঝারি আর নিম্ন পর্যায়ের পণ্যের চাহিদা কম থাকার কারণে মোটামুটি একটা পর্যায়ে আছে।'
চা বিডার ও প্যাকেটিয়ার্সরা বলছেন, এ বছর উৎপাদন বেশি হলেও নিলামে পঞ্চগড়ের নিম্নমানের চায়ের পরিমাণ বেশি।
টি ট্রেডার্স অ্যাসাসিয়েশনের মো. ইকবাল হোসেন বলেন, 'উৎপাদন বেশি হওয়ায় চায়ের দাম কমে যাচ্ছে। অনেক কমেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ভালো চা-গুলো স্বাভাবিকের মতোই আছে। তবে অতিভালো চা এখন নাই বলতে গেলে।'
এমন অবস্থায় চায়ের মান বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের উদ্যাগ নেয়ার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।