পানি শুকিয়ে যমুনার বুকে জেগে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য বালুচর। আর এই জেগে উঠা চরে ছেয়ে গেছে বাদাম গাছের সবুজ পাতায়।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, নাগরপুর, টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতির চরাঞ্চলে সবথেকে বেশি বাদামের আবাদ হয়। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই মাঠ পরিচর্যা আর বাদাম তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেন প্রান্তিক চাষিরা।
কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত এসব বাদামে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার জমজমাট হয়ে উঠে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী হাট। তবে চলতি মৌসুমে কিছুটা কমেছে বাদামের দাম। চাষিরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৮ মণ বাদাম উৎপাদন হয়।
যাতে খরচ হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। তবে বিক্রি করতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১২'শ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়। যা গেল বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পর্যাপ্ত বাদাম আমদানি হওয়া ও চাহিদা কম থাকায় গেল বছরের তুলনায় কম দামে বাদাম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করছে কৃষি বিভাগ বলছে, গেল বছরের তুলনায় এ বছর বাদামের ভাল দাম মিলছে।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। আমরা যেটা দেখেছি মাঠে গিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে তারা ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পেরেছে। সে হিসেবে গড় লাভ থাকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।’
জেলায় এ বছর ২ হাজার ৯৩ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৬৭ টন বাদাম।