নাটোরে তৎপর জাল টাকার ব্যবসায়ীরা, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

এখন জনপদে
0

আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতার সুযোগে নাটোরে তৎপরতা বেড়েছে জাল টাকার ব্যবসায়ীদের। ফলে, ২শ' ৫শ' ও ১ হাজার টাকার জাল নোট দেখা মিলছে সহজেই। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের বুথের মাধ্যমেও জাল টাকা ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা। তবে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ঈদে জাল টাকা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

নাটোরের ব্যবসায়ী আল আমীন। সম্প্রতি কানাইখালির একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৬০ হাজার টাকা তোলেন। এরপর সেই টাকা অন্য আরেকটি ব্যাংকে জমা দেবার সময় এক হাজার টাকার একটি জাল নোট শনাক্ত হয়।

আল আমীন জানান, বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও নোটটি পরিবর্তন করতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

তিনি বলেন, ‘আমাকে একটা জাল টাকা দিল। পরে টাকাটা এনে ব্যাংকে জমা দিলে তারা স্বীকার করে না। এভাবে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে, জাল নোট দিচ্ছে ব্যাংক থেকে।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে নাটোরে অন্তত শত কোটি টাকার লেনদেন হয়। তবে ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বুথেও মিলছে জাল টাকা। এখনি যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ঈদে জাল টাকা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

নাটোরের ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরমান খান চৌধুরি সৈকত বলেন, ‘একজন সারাদিন ব্যবসা করে সারাদিনে আয়ই হয় ৫০০-১০০০ টাকা। এটা যদি জাল হয় তাহলে কি আর পুুঁজি থাকে? পুঁজি থেকে চলে যায়। বর্তমানে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা এবং ২০০ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে আছে। জালগুলো নিখুঁত জাল।’

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, জাল টাকা চেনার উপায় খোঁজার পাশাপাশি সাবধানতার সাথে লেনদেন করতে হবে। একইসাথে এর উৎস খুঁজে বের করলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

সোনালী ব্যাংক নাটোর শাখার এজিএম উজ্জল কুমার বলেন, ‘এখানে একটা জাল নোট প্রতিরোধ কমিটি আছে। ডিসির নেতৃত্বে সে কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রোজা ও কোরবানির ঈদে প্রতি বছরই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো সচেতনতামূলক ভিডিও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও ব্যাংকে চালানো হয়।’

তাই প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জাল টাকা ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি ব্যবসায়ীদের।

এএইচ