পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জি পাড়ায় শোভা ছড়াচ্ছে বিদেশি ফুল টিউলিপ। লাল, হলুদ, সাদা, বেগুনিসহ বিভিন্ন রঙের টিউলিপ ফুটে আছে প্রতিটি ডাটায়। টিউলিপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।
২০২২ সালে পিকেএসএফের অর্থায়নে তেঁতুলিয়ায় টিউলিপ চাষের উদ্যোগ নেয় বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও। এবার চতুর্থবারের মতো তারা স্থানীয় ২৬ জন চাষির মাধ্যমে টিউলিপ চাষ করেছেন।
নেদারল্যান্ডস থেকে প্রতিটি বাল্ব আনতে খরচ পড়ছে ৮০ টাকা। তার সাথে উৎপাদন খরচ মিলিয়ে পড়ছে ৯০ টাকার উপরে। অথচ বাজারে টিউলিপ মিলে ৫০ টাকাতেই। তাই টিউলিপ উৎপাদন করে কিংবা টিকিটের বিনিময়েও লাভের আশা ফিকে। ব্যক্তি পর্যায়ে চাষ করলেও লোকসানের ঝুঁকিই বেশি বলছেন কৃষকরা।
বারবার চেষ্টা করেও টিউলিপের বাল্ব উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি। তাই বড় আকারে উৎপাদনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে আমরা এখনো চাষাবাদ শুরু করতে পারিনি। আর টিউলিপের বাল্বের জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আমরা প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, তারপরও এই প্রজেক্টটি চালু রেখেছে। আশা করছি এটি সামনে আরো ভালো করবে।’
উদ্যোক্তারা বলছেন, ক্রমাগত লোকসানে এবার টিউলিপের চাষের পরিধি আরও কমেছে। প্রায় দুই বিঘা জমিতে ৯ রঙের ২০ হাজার বাল্ব রোপণ করা হয়। তবে লোকসান হলেও ইকো ট্যুরিজমের আশা তাদের।
ইএসডিওর প্রজেক্ট ম্যানেজার কল্যাণ মোহন্ত বলেন, ‘আমরা হয়তো ১০০টা বাল্ব লাগিয়েছি, সেখান থেকে ৭০ টা গাছ হবে আর ফুল হবে মাত্র ৫ থেকে ১০টা। আমরা তাই এখন পর্যন্ত আশানুরূপ সাফল্য পাই নাই।’
টিউলিপ পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করলেও বাণিজ্যিক উৎপাদনে রয়েছে লোকসানের বড় ঝুঁকি।