বার্ধক্যজনিত কারণসহ নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন আবু জাফর। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে গেছেন। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন তার সাবেক স্ত্রী।
আবু জাফরের মরদেহ নেয়া হচ্ছে তার জন্মস্থান কুষ্টিয়ায়। আজ (শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর) আসরের নামাজের পর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে তার জানাজা হবে।
আবু জাফর একাধারে ছিলেন গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।
আবু জাফর রচিত অনন্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। শুধু তাই না, নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশিরভাগ গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তার রচিত ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল।
গানের ভুবনে থাকার পাশাপাশি গুণী আবু জাফর লিখেছেন বেশ কিছু বই। যার মধ্যে রয়েছে ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’(কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য)।