সংগ্রাম শেখানোর একুশ আবার সমাগত হয়েছে বাঙালির দুয়ারে। ২১শে ফেব্রুয়ারির একদিন আগে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, 'একুশে পদক' বিতরণের আয়োজন হয়। হৃদয়ের বাংলার কথা, সুর আর আকুতি দিয়ে মোড়ানো এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয় তাদের, যারা তাদের অন্তরের গহীন আবেগ দিয়ে সমৃদ্ধ করে গেছেন এ দেশকে, এখানকার সাহিত্য আর শিল্পকলাকে। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে।
এবারে মোট ২১ জনকে একুশে পদক দেয়া হলো। এরমধ্যে মরণোত্তর পদক পেয়েছেন ৬ জন। ভাষা আন্দোলনে মরণোত্তর পদক দেয়া হয় মৌলভী আশরাফুদ্দীন আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়াকে। এছাড়া শিল্পকলার গান, আবৃত্তি, নৃত্য, অভিনয় ও চিত্রকলায় পদক পেয়েছেন ১২ জন, সমাজ সেবায় ২ জন, সাহিত্যে ২ জন এবং শিক্ষায় ১ জনকে পদক দেয়া হয়।
বিশিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুণী ব্যক্তিদের সম্মানিত করা আনন্দের। বলেন, 'বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টভাবে যারা অবদান রেখেছেন, সবাইকে একসাথে পদক দেয়া সম্ভব না। তারপরও আমরা চেষ্টা করি যতদূর সম্ভব তাদের সম্মাননা দিতে। যারা বিভিন্নক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন তাদের পুরস্কৃত করতে পেরে আমরা ধন্য হয়েছি। তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
সরকারপ্রধান বলেন, এ দেশের সকল অর্জন সংগ্রামের ভেতর দিয়েই এসেছে। বিশ্বের দরবারে ভাষার জন্য যে মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ, তা ধরে রাখতে অনেক দায়িত্বও আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মাতৃভাষা ইনিষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষা সংগ্রহ ও গবেষণা করা হচ্ছে। আমাদের দেশেই আমরা এটি প্রথম শুরু করেছি এটাই সবচেয়ে গর্বের বিষয়।'
বিজয়ী জাতি হিসেবে সবাইকে মাথা উঁচু করে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।