আসছে মীর লোকমানের ১১তম একক মূকাভিনয় প্রদর্শনী 'লাল মিছিল'

সংস্কৃতি ও বিনোদন
0

মূকাভিনয় শিল্পী মীর লোকমানের ১১তম পূর্ণাঙ্গ একক মূকাভিনয় প্রদর্শনী 'লাল মিছিল' অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে তার একক মূকাভিনয় অনুষ্ঠিত হবে।

তারুণ্যদীপ্ত মূকাভিনয় শিল্পী মীর লোকমানের অন্যায়-অবিচারের বিপরীতে নির্বাক ভাষায় রাজপথে সরব উপস্থিতি গত এক যুগের উপরে। মীর 'না বলা কথাগুলো না বলেই হোক বলা' স্লোগানধারী ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন এবং ইনস্টিটিউট অব মাইম এন্ড মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা।

মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট আর বিশ্ব রাজনীতির নানা বিষয় উঠে আসবে এই প্রযোজনায়। মোট আটটি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রযোজনাটি।

১. রঙ, রক্ত এবং একটি চিৎকার

২. চেয়ার: ক্ষমতার স্বাদ এবং বিস্বাদ

৩. লাল মিছিল

৪. তিনটি দৃশ্য এবং একটি প্রশ্ন

৫. সুবোধ পালাবে না আর

৬. কাঁটাতারের নির্ঘুম কবিতা

৭. আমি শুধু তিনটি খুন করেছিলাম

৮. বিপ্লবী অথবা চিত্রশিল্পী কিংবা কিছুই না!

গল্প ও নির্দেশনার কাজটি মীর লোকমান নিজেই করেছেন। লাইট, সেট ও প্রপসে রয়েছেন তানভীর নাহিদ খান, ফজলে রাব্বি সূকর্ণ, মাহাবুব আলম এবং শাহরিয়ার শাওন।

আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অতিথি হিসেবে থাকছেন ডেইলি নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী।

উল্লেখ্য, গত একযুগ ধরে বাংলাদেশের প্রায় সকল আন্দোলন সংগ্রামে মীর লোকমান সক্রিয় মুখ। অন্যায়-অবিচার কিংবা বৈষম্যের বিপরীতে মূকাভিনয়কে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন এবং নিজেও পরিচিতি পেয়েছেন রাজপথের শিল্পী হিসেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ কোরিয়ার আজু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুবাদে তিনি বৈচিত্র্যময় জ্ঞান ও পরিবেশের সাথে পরিচিত হোন। আর্মেনিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মঞ্চ ও স্ট্রিটে আটশোর মতো প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি।

বহু আন্তর্জাতিক শিল্প উৎসব এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা তাকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি আবহমান বাংলার প্রচলিত শিল্প ধারার সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মূকাভিনয় এবং শিল্পের নানা ঢংয়ের সংমিশ্রণে নতুন রীতি নির্মাণে বিশ্বাসী।

প্রযোজনার প্রয়োজনে বহুমাত্রিক সেট, প্রপস ও মেকাপের সংযোজনে তার উপস্থাপনা আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। টেকনোলজির প্রয়োজনীয় ব্যবহার তার সৃষ্টিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলে সহজে।

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লাল মিছিলেও এর সরূপ দেখা যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

এসএস