সংস্কৃতি ও বিনোদন
0

আন্ডারওর্য়াল্ড গ্যাংস্টারদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন যেসব বলিউড তারকা

আতঙ্কে দিন কাটছে সালমান খানের। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানা হয়ে আছেন ভাইজান। কে এই লরেন্স? সালমান খানকে হত্যা করতে কেন এত মরিয়া হয়ে উঠেছে লরেন্স? এমন হাজারও প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে সালমান ভক্তদের মনে। বলিউডের সাথে গ্যাংস্টারদের যোগসূত্র বহু পুরোনো। নানা কারণে বিনোদন জগতের সুপারস্টাররা আন্ডারওর্য়াল্ডের কুখ্যাত গ্যাংস্টারদের কাছে থেকে পেয়েছেন হত্যার হুমকি। কারা আছেন এই তালিকায়?

১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিশাপ আজও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভাইজানকে। এই অভিযোগে আজও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় সালমান খান। তার কারণ কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করেন বিষ্ণোইরা। ১৯৯৮ সালে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' সিনেমার শ্যুটিংয়ে গিয়ে রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন সলমান খান। সেই সময় লরেন্সের বয়স ছিল পাঁচ বছর। তখন থেকেই মনে মনে সালমানকে খুন করার ইচ্ছে প্রকাশ করে লরেন্স।

মুম্বাই পুলিশ বলছে, সম্প্রতি পানভেলে নিজের ফার্ম হাউসের কাছে সালমানকে মারার জন্য ৩০ লাখ রুপি প্রাথমিক বাজেট দেয়া হয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাংকে।

পাঞ্জাব, হারিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে ৩১ বছর বয়সী এই গ্যাংস্টারের নেটওয়ার্কের বিস্তার। 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় থাকা লরেন্স বিষ্ণোই ২০১৫ সাল থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তা সত্ত্বেও তার প্রভাব এখনও বহাল রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।

২০২২ সালে ভারতের পাঞ্জাবের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী র‌্যাপার ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালা হত্যার পেছনেও কলকাঠি নেড়েছেন বিষ্ণোই গ্যাং এর গোষ্ঠী।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের সাবেক প্রতিমন্ত্রী তথা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকীকে মুম্বাইয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, ৬৬ বছরের এই বহুল পরিচিত নেতার হত্যার সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর যোগসাজশ রয়েছে। বাবা সিদ্দিকের খুনের সূত্র ধরে আবার আলোচনায় এসেছে বলিউডের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো কোন্দলের কথা।

৯০ দশকে এই গ্যাংদের প্রভাব ছিল অনেক বেশি। বর্তমানে বলিউড ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা না হলেও ভেতরে ভেতরে ঠিকই হিন্দি সিনেমায় তাদের প্রভাব আছে। এর আগে একাধিক সুপারস্টারকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে অন্ধকার জগতের কুখ্যাত গ্যাংস্টাররা।

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছিল। আন্ডারওয়ার্ল্ডের কুখ্যাত মাফিয়ারা কিং খানকে তাদের সঙ্গে কাজ করার ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। এমনকি শাহরুখ খানের আয় থেকে কিছু অংশ দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিল মাফিয়ারা। শাহরুখ অভিনীত 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' সিনেমার আয় থেকে গ্যাংস্টার পূজারি কিছু অংশ দাবি করেছিলেন। শুধু ফিল্ম সেটেই নয়, শাহরুখের বাড়িতে যে অফিস রয়েছে, সেখানেও ফোনে হুমকি দেয়া হয়। পুলিশি তদন্ত থেকে জানা যায়, এ সবকিছুর পিছনে ৯০ দশকের গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের হাত রয়েছে। এর আগেও ছোটা শাকিল, আবু সালেমসহ অন্যান্য গ্যাংস্টারও শাহরুখকে হুমকি দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে মুম্বাই পুলিশ থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল এবং ১৫টি গুলি জব্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নির্মাতা মহেশ ভাটকে হত্যার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কাজটি সম্পন্ন করতে ১১ লাখ রুপি পেয়েছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়া নিয়ে গ্যাংস্টারদের সাথে মতবিরোধ ছিল মহেশ ভাটের।

বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে অন্ধকার জগতের গ্যাংস্টারদের বন্ধুত্ব ছিল বেশ গভীর। মতবিরোধ ছিল তুঙ্গে। দুই কুখ্যাত মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিম ও আবু সেলিমের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছিল সঞ্জয়কে।

এসএস