পুষ্পপল্লব, কুঞ্জ-বীথিতে বসন্ত দিয়েছে নবযৌবনের ডাক। শীতের রিক্ততা ভুলে প্রকৃতি গাইছে বসন্তের গান। সেই সুরের বীণায় আন্দোলিত মানব হৃদয়। ফাগুনের দখিনা পবনে উদ্বেলিত নগরবাসী।
বসন্তের রঙে রঙিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা। সাজ সাজ রব ঋতুরাজকে বরণ করতে। তবলা আর সেতারের সুরে মন্ত্রমুগ্ধ এক সকাল।
সূর্য ওঠার পরপরই উৎসবপ্রেমী মানুষের ঢল নামে। শত প্রাণের মেলবন্ধনে মুখর প্রাঙ্গণ। নাগরিক ব্যবস্থা ভুলে বাঙালিয়ানার আস্বাদন উপস্থিতি আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলে। সুরের মূর্ছনা আর নৃত্যের তালে এক অন্যরকম আবহ তৈরি হয়।
পুরোনো জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে নতুনের আবাহনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা সবার কণ্ঠে।
উৎসবপ্রেমীরা বলেন, 'এটা একটা প্রাণের উৎসব, আমাদের প্রাণ ছুঁয়ে যায়। সারাবছর আমরা এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। কারণ সকল বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। পহেলা বৈশাখের মতো ফাগুন উৎসবেও ঢল নামা উচিত। এই উৎসবে বাঙালি জাতির চেতনা প্রতিফলিত হয়।'
বসন্তের অনুভবে ভালোবাসার উষ্ণতা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সবার চাওয়া দখিনা হাওয়ায় বসন্ত আর ভালোবাসার উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে যাবে প্রাণ থেকে প্রাণে।
আয়োজকরা জানান, ঋতুচক্রের পালাবদলে এমন উৎসব বৈষম্য দূর করবে। অসাম্প্রদায়িক মন্ত্রে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগাবে।