সংস্কৃতি ও বিনোদন
0

রাঙামাটিতে তিনদিনের সাংস্কৃতিক উৎসব

উৎসবে ১৬টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ অংশ নেন

টেবিলে থরে থরে সাজানো নানান পদের আর রঙের পিঠাপুলি। পাশেই ভাঁজে ভাঁজে বর্ণিল নতুন পোশাক রয়েছে। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবার আর পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছেন জবা তঞ্চঙ্গ্যা নারী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি সবাইকে যেন জানাতে পারি সেজন্য আমাদের এই উদ্যোগ।’

রাঙামাটির চিংহ্লামং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী ফুড অ্যান্ড কালচারাল উৎসবের আয়োজন করা হয়। জবা তঞ্চঙ্গ্যার মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙ্গালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন ও সাঁওতালসহ ১৬টি সম্প্রদায় তাদের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার ও পোশাক নিয়ে এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। সব সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয়ের সুযোগ পাওয়ায় খুশি অংশগ্রহণকারী ও দর্শনার্থীরা।

এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এই ধরনের উৎসব প্রতি বছর হলে আমরা নতুন নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবো।’

বর্ণিল এই উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। উৎসবে প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পাহাড়ের মানুষের জীবনবোধ আর সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতিফলন এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে এই আয়োজন।'

এই উৎসব পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এতে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হবে। পাশাপাশি পর্যটন সম্পদের সম্ভাবনা আরও প্রসারিত হবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।