দর্শণার্থীরা বলেন, 'যেহেতু মেলা চলছে তাই এই সময়টা আমরা আসার জন্য বেছে নিয়েছি। কারণ উনার বাড়ি দেখার পাশাপাশি মেলাতেও ঘুরবো। এখানে অনেক লোকের সমাগম হয়েছে। দেখে ভালো লাগছে।'
কবির বাড়ি দেখার সাথে সাথে মেলা থেকে কেনাকাটা এবং বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। সার্কাস, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন উপভোগ্য জিনিস রয়েছে। আর এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভালো বেচাকেনা হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি।
বিক্রেতারা বলেন, 'আমরা অনেক দূর থেকে আসছি। বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করি। কাস্টমারের অনেক ভিড় রয়েছে। চুরি-কসমেটিকসের বেচাকেনা অনেক ভালো। সামনের দিনে লোক আরও বেশি হবে।'
মেলায় স্টল রয়েছে ৩ শতাধিক। কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার আশাবাদ ব্যবসায়ীদের। অস্থায়ী কর্মীদেরও আয়ের সুযোগ হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মেলায় বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে। জিনিসের দামও অনেক কম। ছোট দোকানে ২০ হাজার আর বড় দোকানগুলোতে লাখের উপরে বেচাকেনা হয়।
মেলায় মধুভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় প্রশাসন। পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা'র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মধুমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব তুহিন হোসেন বলেন, 'এখানে প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে। দূর থেকে যে দর্শণার্থীরা আসবেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি। প্রায় ২০০ এর উপরে আমাদের পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রয়েছে।'
আয়োজকরা জানান, ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতায় মারা যান মহাকবি মাইকেল মধুসূদন। এরপর কবির ভাইয়ের মেয়ে কবি মানকুমারি বসু ১৮৯০ সালে সাগরদাঁড়িতে কবির প্রথম স্মরণসভার আয়োজন করেন। সেই আয়োজন থেকেই মধু মেলার শুরু হয়।