আজ (বুধবার, ৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি।
তিনি জানান, নিহতের স্ত্রী সংগীতশিল্পী সোনিয়ার সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোনিয়ার সঙ্গে ধৃত আসামি মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফের (৪২) অবৈধ সম্পর্কের কারণে স্বামী-স্ত্রী প্রায়ই ঝগড়ায় জড়াত। এরই জেরে সোনিয়া ও ইউসুফ মিলে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ৩০ নভেম্বর রাতে গানের অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে রেখে বের হওয়ার পর সুমনকে ক্লাব থেকে ডেকে সিএনজিতে তুলে চর কাশীপুরে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে ধারালো অস্ত্রে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সুপার জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত ইউসুফকে গ্রেপ্তারের পরে তার স্বীকারোক্তিতে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুর রহমান (২৮), বিল্লাল হোসেন (৫৮), আলমগীর হাওলাদার (৪৫), নান্নু মিয়া (৫৫) এবং নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২)। ঘটনায় ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি সুইচ গিয়ারও উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক আসামি মামুনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ফতুল্লার কাশীপুরের মধ্য নরসিংপুরে সুমনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমন বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার মন্টু খলিফার ছেলে।





