ঘটনার পর রাতেই নকলা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোওলা ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।
এ ঘটনার পর কৃষি অফিসার মেহেদীর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং একই দিন রাত আটটায় সংবাদ সম্মেলন করেছে নকলা উপজেলা ছাত্রদল।
আরও পড়ুন:
কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা রাহাত ও ফজলু আমার অফিসে এসে জানতে চান কে কে কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। এরপর তারা বলেন, ছাত্রদলের ভাগ তাদের দিতে হবে। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য, রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেয়ার সুযোগ নেই। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকে টেনে হিঁচড়ে অফিসের বাইরে বের করে। পরে আমার ডাক চিৎকারে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসলে তারা দ্রুত পালিয়ে যান।’
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম সিদ্দিকী বাবু বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’





